ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

দেশে ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি: সংগৃহীত

 

দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো প্রধান শিক্ষক নেই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

শনিবার সকালে রাজধানীর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, “দেশজুড়ে ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুল পরিচালনায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অযথা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় স্বাভাবিক শিক্ষাপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাণিজ্যিকীকরণের কারণে শিক্ষার প্রকৃত মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারছে না। এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের ন্যায্য সম্মানী নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র এখনও ব্যর্থ। তবে বর্তমান সরকার শিক্ষকদের মর্যাদা ও প্রণোদনা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে প্রাথমিক শিক্ষাই সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। আজকের শিশুদের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কৃতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাথমিক শিক্ষা পদক গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, যিনি প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রযাত্রায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষার নানা সংকট ও সম্ভাবনার চিত্র উঠে আসে, যা আগামী দিনে আরও উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার আহ্বান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০১:০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো প্রধান শিক্ষক নেই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

শনিবার সকালে রাজধানীর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, “দেশজুড়ে ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুল পরিচালনায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অযথা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় স্বাভাবিক শিক্ষাপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাণিজ্যিকীকরণের কারণে শিক্ষার প্রকৃত মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারছে না। এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের ন্যায্য সম্মানী নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র এখনও ব্যর্থ। তবে বর্তমান সরকার শিক্ষকদের মর্যাদা ও প্রণোদনা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

তিনি বলেন, “শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে প্রাথমিক শিক্ষাই সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। আজকের শিশুদের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কৃতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাথমিক শিক্ষা পদক গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, যিনি প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রযাত্রায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষার নানা সংকট ও সম্ভাবনার চিত্র উঠে আসে, যা আগামী দিনে আরও উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার আহ্বান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।