শক্তিশালী সেনাবাহিনীই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ; দুর্বল হলে তা বজায় রাখা কঠিন হবে: সামরিক কর্মকর্তারা

- আপডেট সময় ০৪:২১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
- / 26
দেশ এক অস্থির সময় পার করছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য তুলে ধরা শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন—সেনাবাহিনী দুর্বল হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আর এ সুযোগে প্রতিবেশী রাষ্ট্রও হায়েনার মতো আক্রমণ করতে দ্বিধা করবে না।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) আব্দুল হক বলেন, কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়, জনগণকেও সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই অস্থিরতা পরিকল্পিত, যার পেছনে বিদেশি শক্তির মদদ রয়েছে। সেনাবাহিনীর মর্যাদায় আঘাত হানা মানে পুরো রাষ্ট্রকাঠামোকে দুর্বল করা।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) বায়েজিদ সরোয়ার মনে করেন, জুলাই বিপ্লবে সেনাবাহিনী যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সেই বাহিনীর নেতার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য অত্যন্ত অনভিপ্রেত। এখন সময় ঐক্যের, বিভাজনের নয়।’
মেজর জেনারেল (অব.) মো. নাঈম আশফাকুর চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিকে আঘাত করা বিপজ্জনক। নেতাদের প্রতিটি কথার ওজন রয়েছে। দায়িত্বশীলতা না থাকলে সেই বক্তব্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে এবং জনগণের আস্থার জায়গা নষ্ট হবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাবাহিনী শুধু প্রতিরক্ষার বাহিনী নয়, বরং স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় ঐক্যের প্রতীক। সেনাবাহিনী নিয়ে খোলা ময়দানে সমালোচনা নয়, প্রয়োজন সম্মান ও গঠনমূলক সমালোচনা। সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা হারালে পুরো জাতিই দুর্বল হয়ে পড়ে।
এই ক্রান্তিকালে রাজনৈতিক বিভেদ নয়, জাতীয় স্বার্থে সব পক্ষের একসঙ্গে এগিয়ে চলার সময় এসেছে। সেনাবাহিনীর সম্মান রক্ষা ও জনগণের ভরসা অটুট রাখাই এখন সময়ের দাবি।