ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

শক্তিশালী সেনাবাহিনীই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ; দুর্বল হলে তা বজায় রাখা কঠিন হবে: সামরিক কর্মকর্তারা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

দেশ এক অস্থির সময় পার করছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য তুলে ধরা শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন—সেনাবাহিনী দুর্বল হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আর এ সুযোগে প্রতিবেশী রাষ্ট্রও হায়েনার মতো আক্রমণ করতে দ্বিধা করবে না।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) আব্দুল হক বলেন, কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়, জনগণকেও সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই অস্থিরতা পরিকল্পিত, যার পেছনে বিদেশি শক্তির মদদ রয়েছে। সেনাবাহিনীর মর্যাদায় আঘাত হানা মানে পুরো রাষ্ট্রকাঠামোকে দুর্বল করা।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) বায়েজিদ সরোয়ার মনে করেন, জুলাই বিপ্লবে সেনাবাহিনী যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সেই বাহিনীর নেতার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য অত্যন্ত অনভিপ্রেত। এখন সময় ঐক্যের, বিভাজনের নয়।’

মেজর জেনারেল (অব.) মো. নাঈম আশফাকুর চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিকে আঘাত করা বিপজ্জনক। নেতাদের প্রতিটি কথার ওজন রয়েছে। দায়িত্বশীলতা না থাকলে সেই বক্তব্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে এবং জনগণের আস্থার জায়গা নষ্ট হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাবাহিনী শুধু প্রতিরক্ষার বাহিনী নয়, বরং স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় ঐক্যের প্রতীক। সেনাবাহিনী নিয়ে খোলা ময়দানে সমালোচনা নয়, প্রয়োজন সম্মান ও গঠনমূলক সমালোচনা। সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা হারালে পুরো জাতিই দুর্বল হয়ে পড়ে।

এই ক্রান্তিকালে রাজনৈতিক বিভেদ নয়, জাতীয় স্বার্থে সব পক্ষের একসঙ্গে এগিয়ে চলার সময় এসেছে। সেনাবাহিনীর সম্মান রক্ষা ও জনগণের ভরসা অটুট রাখাই এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

শক্তিশালী সেনাবাহিনীই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ; দুর্বল হলে তা বজায় রাখা কঠিন হবে: সামরিক কর্মকর্তারা

আপডেট সময় ০৪:২১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

দেশ এক অস্থির সময় পার করছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য তুলে ধরা শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন—সেনাবাহিনী দুর্বল হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আর এ সুযোগে প্রতিবেশী রাষ্ট্রও হায়েনার মতো আক্রমণ করতে দ্বিধা করবে না।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) আব্দুল হক বলেন, কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়, জনগণকেও সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই অস্থিরতা পরিকল্পিত, যার পেছনে বিদেশি শক্তির মদদ রয়েছে। সেনাবাহিনীর মর্যাদায় আঘাত হানা মানে পুরো রাষ্ট্রকাঠামোকে দুর্বল করা।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) বায়েজিদ সরোয়ার মনে করেন, জুলাই বিপ্লবে সেনাবাহিনী যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সেই বাহিনীর নেতার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য অত্যন্ত অনভিপ্রেত। এখন সময় ঐক্যের, বিভাজনের নয়।’

মেজর জেনারেল (অব.) মো. নাঈম আশফাকুর চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিকে আঘাত করা বিপজ্জনক। নেতাদের প্রতিটি কথার ওজন রয়েছে। দায়িত্বশীলতা না থাকলে সেই বক্তব্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে এবং জনগণের আস্থার জায়গা নষ্ট হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাবাহিনী শুধু প্রতিরক্ষার বাহিনী নয়, বরং স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় ঐক্যের প্রতীক। সেনাবাহিনী নিয়ে খোলা ময়দানে সমালোচনা নয়, প্রয়োজন সম্মান ও গঠনমূলক সমালোচনা। সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা হারালে পুরো জাতিই দুর্বল হয়ে পড়ে।

এই ক্রান্তিকালে রাজনৈতিক বিভেদ নয়, জাতীয় স্বার্থে সব পক্ষের একসঙ্গে এগিয়ে চলার সময় এসেছে। সেনাবাহিনীর সম্মান রক্ষা ও জনগণের ভরসা অটুট রাখাই এখন সময়ের দাবি।