ঢাকা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

হিন্দুদের ওপর হামলার কারণ ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক – মার্কিন সিনেটরকে জানালেন ড. ইউনূস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 34

ছবি: সংগৃহীত

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করা তার সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার। বর্ণ, ধর্ম, জাতি বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার অধিকার সংরক্ষণে সরকার আপসহীন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই কথা বলেন। আলোচনায় উঠে আসে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত আগস্টে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিনেটর গ্যারি পিটার্স জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের অনেকে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই হামলাগুলো নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রেও প্রভাব ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশ সফর করে বাস্তব পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখা। তিনি মার্কিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীদের বাংলাদেশে এসে ধর্মীয় সম্প্রীতির বাস্তব চিত্র দেখার আহ্বান জানান।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংস্কারে রাজি হলে আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, যদি তারা বৃহত্তর রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে থাকে, তাহলে নির্বাচন কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে।

তিনি আশ্বস্ত করেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের দিন একটি বড় উদযাপন হবে, যেমনটি আমরা অতীতে দেখেছি।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই মাসে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা ঠিক করবে। একবার তারা মূল কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারের সঙ্গে একমত হলেই এই ঘোষণা চূড়ান্ত হবে।

সিনেটর পিটার্স বাংলাদেশে সরকারের নেওয়া সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তন প্রত্যাশা করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হিন্দুদের ওপর হামলার কারণ ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক – মার্কিন সিনেটরকে জানালেন ড. ইউনূস

আপডেট সময় ১২:৩২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করা তার সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার। বর্ণ, ধর্ম, জাতি বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার অধিকার সংরক্ষণে সরকার আপসহীন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই কথা বলেন। আলোচনায় উঠে আসে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত আগস্টে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিনেটর গ্যারি পিটার্স জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের অনেকে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই হামলাগুলো নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রেও প্রভাব ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশ সফর করে বাস্তব পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখা। তিনি মার্কিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীদের বাংলাদেশে এসে ধর্মীয় সম্প্রীতির বাস্তব চিত্র দেখার আহ্বান জানান।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংস্কারে রাজি হলে আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, যদি তারা বৃহত্তর রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে থাকে, তাহলে নির্বাচন কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে।

তিনি আশ্বস্ত করেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের দিন একটি বড় উদযাপন হবে, যেমনটি আমরা অতীতে দেখেছি।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই মাসে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা ঠিক করবে। একবার তারা মূল কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারের সঙ্গে একমত হলেই এই ঘোষণা চূড়ান্ত হবে।

সিনেটর পিটার্স বাংলাদেশে সরকারের নেওয়া সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তন প্রত্যাশা করে।