ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শান্তি আলোচনার মধ্যেই রক্তাক্ত লড়াই: ইউক্রেন-রাশিয়া হামলা-পাল্টা হামলায় হতাহতের মিছিল জাতীয় নির্বাচনের আগে ৯ দফা সংস্কারে ইসির দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন ইসি সচিব ঈদে বাড়বে যৌথবাহিনীর তৎপরতা, অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা, ইউনূস-মোদি বৈঠকে ঢাকার আগ্রহ, দিল্লির সাড়া প্রতীক্ষায়: পররাষ্ট্রসচিব স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা  বাংলাদেশে আসছে ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেট: বাণিজ্যিক সম্প্রচারে বড় অগ্রগতি জীবদ্দশায় জাতীয় পুরস্কার প্রদানের নিয়ম চালু করার প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান  গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা ভুতুড়ে টিআরপিতে বিপাকে টিভি চ্যানেল, জবাবদিহির দাবি গণমাধ্যম কমিশনের তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

হিন্দুদের ওপর হামলার কারণ ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক – মার্কিন সিনেটরকে জানালেন ড. ইউনূস

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করা তার সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার। বর্ণ, ধর্ম, জাতি বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার অধিকার সংরক্ষণে সরকার আপসহীন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই কথা বলেন। আলোচনায় উঠে আসে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত আগস্টে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিনেটর গ্যারি পিটার্স জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের অনেকে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই হামলাগুলো নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রেও প্রভাব ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশ সফর করে বাস্তব পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখা। তিনি মার্কিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীদের বাংলাদেশে এসে ধর্মীয় সম্প্রীতির বাস্তব চিত্র দেখার আহ্বান জানান।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংস্কারে রাজি হলে আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, যদি তারা বৃহত্তর রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে থাকে, তাহলে নির্বাচন কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে।

তিনি আশ্বস্ত করেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের দিন একটি বড় উদযাপন হবে, যেমনটি আমরা অতীতে দেখেছি।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই মাসে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা ঠিক করবে। একবার তারা মূল কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারের সঙ্গে একমত হলেই এই ঘোষণা চূড়ান্ত হবে।

সিনেটর পিটার্স বাংলাদেশে সরকারের নেওয়া সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তন প্রত্যাশা করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৩২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

হিন্দুদের ওপর হামলার কারণ ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক – মার্কিন সিনেটরকে জানালেন ড. ইউনূস

আপডেট সময় ১২:৩২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা করা তার সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার। বর্ণ, ধর্ম, জাতি বা লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার অধিকার সংরক্ষণে সরকার আপসহীন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই কথা বলেন। আলোচনায় উঠে আসে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত আগস্টে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তা ধর্মীয় নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সিনেটর গ্যারি পিটার্স জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের অনেকে সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই হামলাগুলো নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রেও প্রভাব ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশ সফর করে বাস্তব পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখা। তিনি মার্কিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীদের বাংলাদেশে এসে ধর্মীয় সম্প্রীতির বাস্তব চিত্র দেখার আহ্বান জানান।

নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংস্কারে রাজি হলে আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, যদি তারা বৃহত্তর রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে থাকে, তাহলে নির্বাচন কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে।

তিনি আশ্বস্ত করেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের দিন একটি বড় উদযাপন হবে, যেমনটি আমরা অতীতে দেখেছি।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই মাসে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা ঠিক করবে। একবার তারা মূল কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারের সঙ্গে একমত হলেই এই ঘোষণা চূড়ান্ত হবে।

সিনেটর পিটার্স বাংলাদেশে সরকারের নেওয়া সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক পরিবর্তন প্রত্যাশা করে।