ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শান্তি আলোচনার মধ্যেই রক্তাক্ত লড়াই: ইউক্রেন-রাশিয়া হামলা-পাল্টা হামলায় হতাহতের মিছিল জাতীয় নির্বাচনের আগে ৯ দফা সংস্কারে ইসির দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন ইসি সচিব ঈদে বাড়বে যৌথবাহিনীর তৎপরতা, অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা, ইউনূস-মোদি বৈঠকে ঢাকার আগ্রহ, দিল্লির সাড়া প্রতীক্ষায়: পররাষ্ট্রসচিব স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা  বাংলাদেশে আসছে ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেট: বাণিজ্যিক সম্প্রচারে বড় অগ্রগতি জীবদ্দশায় জাতীয় পুরস্কার প্রদানের নিয়ম চালু করার প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান  গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা ভুতুড়ে টিআরপিতে বিপাকে টিভি চ্যানেল, জবাবদিহির দাবি গণমাধ্যম কমিশনের তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

পুলিশ অবহেলা করে উন্নত দেশ গড়া সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

ঢাকা, ১৭ মার্চ: দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহেলা করে কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। পুলিশই সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতকারী সম্মুখযোদ্ধা।”

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে মাঠ পর্যায়ের ১২৭ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “আইন ছাড়া গণতন্ত্র, সরকার কিংবা নাগরিক অধিকার কিছুই টিকবে না। পুলিশ বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহযোগিতা না থাকলে কোনো দেশই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পথে এগোতে পারবে না।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “পুলিশ শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়, বরং সমাজের অপরিহার্য অংশ। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে। জনগণ ও পুলিশের পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, যাতে অপরাধ দমন আরও কার্যকর হয়।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ এবং রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ফারজানা ইসলামও সভায় বক্তব্য দেন।

সভার আলোচনায় পুলিশের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার, জনবান্ধব পুলিশিং এবং আধুনিক প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আমাদের বাহিনী নিরলস কাজ করছে। জনগণের আস্থা অর্জন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

বৈঠকে পুলিশের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানান।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে পারলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও দৃঢ় হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৫০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ অবহেলা করে উন্নত দেশ গড়া সম্ভব নয়: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৩:৫০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকা, ১৭ মার্চ: দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহেলা করে কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। পুলিশই সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতকারী সম্মুখযোদ্ধা।”

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে মাঠ পর্যায়ের ১২৭ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “আইন ছাড়া গণতন্ত্র, সরকার কিংবা নাগরিক অধিকার কিছুই টিকবে না। পুলিশ বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহযোগিতা না থাকলে কোনো দেশই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পথে এগোতে পারবে না।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “পুলিশ শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়, বরং সমাজের অপরিহার্য অংশ। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে। জনগণ ও পুলিশের পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, যাতে অপরাধ দমন আরও কার্যকর হয়।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ এবং রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ফারজানা ইসলামও সভায় বক্তব্য দেন।

সভার আলোচনায় পুলিশের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার, জনবান্ধব পুলিশিং এবং আধুনিক প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আমাদের বাহিনী নিরলস কাজ করছে। জনগণের আস্থা অর্জন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

বৈঠকে পুলিশের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানান।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে পারলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও দৃঢ় হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।