নারী ক্রীড়ায় নতুন দিগন্ত: বাংলাদেশে কাতার ফাউন্ডেশনের সহায়তা প্রতিশ্রুতি

- আপডেট সময় ০৪:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / 23
বাংলাদেশি নারী ক্রীড়াবিদদের উন্নয়নে কাতার ফাউন্ডেশন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। নারী ক্রীড়াবিদদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডরমেটরি, জিম, প্রশিক্ষণ সুবিধাসহ একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন গঠনে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিশ্রুতি আসে দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা সম্মেলনের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, যেখানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ – দুইজন ক্রিকেটার ও দুইজন ফুটবলার – তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তারা জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদ হিসেবে পথচলা কতটা চ্যালেঞ্জের এবং সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যে কিভাবে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। Sheikh Hind আবেগঘনভাবে তাদের কথা শোনেন এবং তাদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন।
নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য যথাযথ অবকাঠামোর অভাবের বিষয়টি বৈঠকে গুরুত্ব পায়। বিশেষ করে, ডরমেটরি, উন্নত জিমনেশিয়াম, এবং পেশাদার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ঘাটতির কথা তুলে ধরেন ক্রীড়াবিদরা। এই প্রেক্ষিতে Sheikh Hind জানান, কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। এই ফাউন্ডেশন ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই বিশেষ ফাউন্ডেশন দ্রুত সময়ের মধ্যেই গড়ে তোলা হবে এবং এর মাধ্যমে সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি কোর্সের আয়োজন করা হবে। এছাড়া, তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, সম্মেলন কক্ষ এবং বিদেশি অতিথিদের জন্য আবাসিক সুবিধার সহযোগিতা চান।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত নারী ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। Sheikh Hind এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং এর বাস্তবায়নে কাতার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াঙ্গনে এই সহযোগিতা নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। নারী ক্রীড়াবিদদের পেশাগত উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।