০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে আগারগাঁওয়ে বিস্ফোরণ: দগ্ধ একই পরিবারের সাতজন ডিজিটাল গ্রিন কার্ডে মিলবে মালয়েশিয়ার নির্মাণশ্রমিকদের বেতন ঢাকায় জোবাইদা রহমান, বেগম জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৪

পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল, গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল ধ্বংস হয়েছে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / 200

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল, রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পোশাক ও গুরুত্বপূর্ণ নমুনা পণ্য (স্যাম্পল) ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান।

রোববার (১৯ অক্টোবর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএর এ নেতা বলেন, গতকাল (শনিবার) বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ ঘটনায় আমরা বিজিএমইএ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ দুর্ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে পোশাক শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য আজ আমরা এখানে এসেছি। সাধারণত হাই ভ্যালুড পণ্য ও জরুরি শিপমেন্টের ক্ষেত্রে আকাশপথে জাহাজীকরণ করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ইনামুল হক খান বলেন, ধ্বংস হওয়া মালামালের মধ্যে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা পোশাক, পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অনেক স্যাম্পল ছিল। এই স্যাম্পলগুলো সরাসরি নতুন ব্যবসার পথ উন্মোচন করে এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জন্য অপরিহার্য। এই স্যাম্পলগুলো হারানো মানে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি।

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিজিএমইএর সদস্যদের কাছে নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করার জন্য একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টালও খোলা হয়েছে।

বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বলেন, আমাদের সদস্যরা প্রায় সবাই এয়ারপোর্টে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। সেই হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। বিজিএমইএ দ্রুত সমস্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিমানবন্দর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করবে।

ইনামুল হক খান বলেন, আমরা ভেতরে গেলাম, ভেতরে গিয়ে আমরা বিধ্বস্ত অবস্থা দেখলাম, ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। আমদানির সেকশনটা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এটা কতটা ভয়াবহ ভেতরে গিয়ে আমরা বুঝতে পারলাম। ভীষণ একটা খারাপ অবস্থা ভেতরে। আমাদের কতদিন লাগবে আমরা ঠিক জানি না, ১৫ দিন থেকে ১ মাস লাগবে এটাকে আবার ব্যাক (পুনরায় সচল) করার জন্য।

বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, এখানে বাণিজ্য উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছে, উনি এসেছিলেন। আমরা মিটিং করেছি এখানেই দাঁড়িয়েই। পুরো জায়গার অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে। উনি ইমিডিয়েটলি বলেছেন যে, এখন তো জায়গা নেই আমদানি আসার। এটাকে সুবিধাজনক করার জন্য টার্মিনাল ৩-এ নতুন জায়গা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বিজিএমইএর যারা আমাদের মেম্বার, যারা আমদানি করছে, এখন মালামাল প্রতিদিন আসবে, সেটা যেন খুব দ্রুত ৩৬ ঘণ্টার ভেতরে ক্লিয়ার করা হয় (আগে যেটা ছিল ৭২ ঘণ্টা)। সেটার জন্য উনি আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা আমাদের মেম্বারদেরকে জানাব একই কথা। কাস্টমসের সাথেও আমরা একটা ওয়ার্কিং কমিটি করে যেন খুব দ্রুত সুবিধাজনক করে মালগুলো যেন বের করা যায়, যেন জমে না যায়, সেটার স্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলাপ হয়েছে ভেতরে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল, গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল ধ্বংস হয়েছে

আপডেট সময় ০৫:০৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

 

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল, রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পোশাক ও গুরুত্বপূর্ণ নমুনা পণ্য (স্যাম্পল) ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান।

রোববার (১৯ অক্টোবর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএর এ নেতা বলেন, গতকাল (শনিবার) বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ ঘটনায় আমরা বিজিএমইএ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ দুর্ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে পোশাক শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য আজ আমরা এখানে এসেছি। সাধারণত হাই ভ্যালুড পণ্য ও জরুরি শিপমেন্টের ক্ষেত্রে আকাশপথে জাহাজীকরণ করা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ইনামুল হক খান বলেন, ধ্বংস হওয়া মালামালের মধ্যে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা পোশাক, পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অনেক স্যাম্পল ছিল। এই স্যাম্পলগুলো সরাসরি নতুন ব্যবসার পথ উন্মোচন করে এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জন্য অপরিহার্য। এই স্যাম্পলগুলো হারানো মানে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি।

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিজিএমইএর সদস্যদের কাছে নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতি হওয়া পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করার জন্য একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টালও খোলা হয়েছে।

বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বলেন, আমাদের সদস্যরা প্রায় সবাই এয়ারপোর্টে পণ্য পাঠান। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। সেই হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। বিজিএমইএ দ্রুত সমস্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিমানবন্দর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করবে।

ইনামুল হক খান বলেন, আমরা ভেতরে গেলাম, ভেতরে গিয়ে আমরা বিধ্বস্ত অবস্থা দেখলাম, ভয়াবহ অবস্থা দেখলাম। আমদানির সেকশনটা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এটা কতটা ভয়াবহ ভেতরে গিয়ে আমরা বুঝতে পারলাম। ভীষণ একটা খারাপ অবস্থা ভেতরে। আমাদের কতদিন লাগবে আমরা ঠিক জানি না, ১৫ দিন থেকে ১ মাস লাগবে এটাকে আবার ব্যাক (পুনরায় সচল) করার জন্য।

বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, এখানে বাণিজ্য উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছে, উনি এসেছিলেন। আমরা মিটিং করেছি এখানেই দাঁড়িয়েই। পুরো জায়গার অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে। উনি ইমিডিয়েটলি বলেছেন যে, এখন তো জায়গা নেই আমদানি আসার। এটাকে সুবিধাজনক করার জন্য টার্মিনাল ৩-এ নতুন জায়গা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বিজিএমইএর যারা আমাদের মেম্বার, যারা আমদানি করছে, এখন মালামাল প্রতিদিন আসবে, সেটা যেন খুব দ্রুত ৩৬ ঘণ্টার ভেতরে ক্লিয়ার করা হয় (আগে যেটা ছিল ৭২ ঘণ্টা)। সেটার জন্য উনি আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা আমাদের মেম্বারদেরকে জানাব একই কথা। কাস্টমসের সাথেও আমরা একটা ওয়ার্কিং কমিটি করে যেন খুব দ্রুত সুবিধাজনক করে মালগুলো যেন বের করা যায়, যেন জমে না যায়, সেটার স্বার্থে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলাপ হয়েছে ভেতরে।